পটুয়াখালী প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় ওয়ারেন্টভুক্ত কাশেম বেপারী (৪৫) নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করতে গিয়ে পুলিশের তিন সদস্য হামলার শিকার হয়েছেন। আসামির পরিবারের সদস্যরা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের বড়শিবা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গলাচিপা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সুমন হাওলাদার বাদী হয়ে পৃথক একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ২২। মামলায় কাশেম বেপারী ও তার ভাবি হাসিনা বেগমসহ মোট ১০ জনের নাম উল্লেখ এবং ৮-৯ জন অজ্ঞাতনামের ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার রাতে অন্যতম আসামি হাসিনা বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ভোলার চরফ্যাশনের একটি জিআর-২৫৬-৯৯ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি কাশেম বেপারী। তিনি গলাচিপার চরকাজল ইউনিয়নের বড়শিবা গ্রামে অবস্থান করছিলেন। পুলিশ এ সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে তাকে গ্রেফতার করে। এসময় কাশেমের বাড়ির সদস্যরা চিৎকার দিয়ে সবাই একত্রিত হয়। পুলিশ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মরিচের গুঁড়া নিয়ে ছুটে এসে হাসিনা বেগম থানার এএসআই সুমনসহ অন্যান্য সদস্যদের চোখে ছিটিয়ে দেন। এসময় জড়ো হওয়া ১০-১২ জন মিলে পুলিশ সদস্যদের এলাপাথারি পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেন। মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে রক্ষা না পাওয়ায় প্রধান আসামি কাশেম বেপারী সুপারি কাটার ‘ছরতা’ দিয়ে এএসআই সুমনের মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে খবর পেয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত এএসআই সুমন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পলাতক প্রধান আসামি কাশেম বেপারীকে গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলেও জানান ওসি।
Leave a Reply